নোয়াখালীর সেনবাগে তরুণের বিরুদ্ধে ট্রিট দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নববধূকে (১৬) ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ২৯ দিন পার হলেও এখনো নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযুক্ত তরুণ মো. রবিউল ওরফে শিহাব (২০) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মিস্টারের ছেলে।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, নোয়াখালী আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ২৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, গত মাসের ২৪ জুন প্রবাসী যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় গত ২২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে তাকে ট্রিট দেয়ার কথা বলে শিহাব নামে তরুণ তার মেয়েকে ৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ২৪ জুলাই এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। এক পর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিহাব ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তভার দেয়া হয়েছে।